আশীষ-উর-রহমান | তারিখ: ০৬-০৫-২০১০
কামানের গোলা ফুটে আছে গাছে—শুনতে কেমন বেখাপ্পা ঠেকছে! আসলে ফুলটি যে দেশের, সেখানে তার নাম ‘ক্যাননবল’। আক্ষরিক বাংলা তো কামানের গোলাই হয়! তবে বাংলায় এর একটি চমৎকার নাম আছে—নাগলিঙ্গম। ফুল কোমল, স্নিগ্ধ, পূতপবিত্রতার প্রতীক। তার সঙ্গে তো গোলাগুলি মানায় না।
রমনা উদ্যানে যাঁরা সকাল-বিকেল হাঁটতে যান, নাগলিঙ্গম তাঁদের নজর এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়। কারণ এটি একেবারেই আলাদা। যজ্ঞডুমুর বা লটকন যেমন গাছের কাণ্ড ফেটে বের হয়ে সারা কাণ্ড ছেয়ে ফেলে, নাগলিঙ্গমও তা-ই। পার্থক্য হলো, এর ফলগুলো আকারে অনেক বড়, দেখতে কামানের গোলার মতো। সে কারণেই ক্যাননবল নাম। তবে ফল নয়, নাগলিঙ্গম দৃষ্টি কাড়ে তার ফুলের সৌন্দর্যের কারণে। আকারে এটি যেমন বড়, রূপে তেমনি নয়নাভিরাম, সৌরভে মনোহরা। গ্রীষ্মের ফুল। ফুটতে শুরু করে বসন্তের শেষ থেকে। অনেক দিন ধরে ফোটে, প্রায় শরৎ পর্যন্ত।
নাগলিঙ্গমের বেশ কয়েকটি গাছ আছে রমনা উদ্যানে। পশ্চিমে উদ্যান নার্সারির সামনে, এলিজাবেথ মঞ্চের পুবে ও পশ্চিমে, রমনা রেস্তোরাঁর পুব পাশে, কিছুক্ষণ চত্বরে এসব গাছ এখন প্রায় গোড়া থেকে পুরো কাণ্ড ফুলে ফুলে ভরা। সকালে হাঁটতে গিয়ে সৌরভে বাতাস আকুল করা নাগলিঙ্গমের তলা দিয়ে যাওয়ার সময় তার শোভা পুষ্পানুরাগীদের খানিকক্ষণ থামিয়েও দিতে পারে।
নাগলিঙ্গমের সৌন্দর্যে অভিভূত উদ্ভিদবিজ্ঞানী দ্বিজেন শর্মা তাঁর শ্যামলী নিসর্গ বইয়ে লিখেছেন, ‘আপনি বর্ণে, গন্ধে, বিন্যাসে অবশ্যই মুগ্ধ হবেন। এমন আশ্চর্য ভোরের একটি মনোহর অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই অনেক দিন আপনার মনে থাকবে।’ তিনি জানাচ্ছেন, নাগলিঙ্গমের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার উষ্ণ অঞ্চলে। বৈজ্ঞানিক নাম Couroupita guianensis। নাগলিঙ্গম আমাদের দেশে বেশ দুর্লভ। ঢাকায় রমনা উদ্যান ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং তেজগাঁওয়ের কৃষি কলেজ চত্বরে কয়েকটি গাছ আছে।
পৃথিবীর অপর পিঠের দেশটি থেকে এই নয়নমনোহর ফুলের গাছটি কবে, কেমন করে এ অঞ্চলে এসেছিল, ভারতবর্ষের কোথায় তার জন্ম হলো প্রথম, সেসব রহস্য উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের কাছেও দুর্ভেদ্য। এখানে এর নাগলিঙ্গম নাম হয়েছিল সাপের ফণার মতো বাঁকানো পরাগচক্রের কারণে।
উজ্জ্বল গোলাপি রঙের ফুল। পাপড়ি ছয়টি। বসন্তে যেমন শিমুল গাছতলা ঝরা ফুলে ভরে থাকে, নাগলিঙ্গমের তলাও তেমনি এর অজস্র পাপড়িতে ছেয়ে থাকে। প্রকাণ্ড বৃক্ষ। পাতা লম্বা, ডগা সুচালো। শাখার সঙ্গে প্রায় লেগে থাকে। কাণ্ড ধূসর। ফুলের সৌরভ মন মাতালেও গাঢ় বাদামি রঙের ফলগুলো পেকে যখন খসে পড়ে, তখন সেগুলো পচে কটু গন্ধ ছড়ায়।
ফলে অজস্র বীজ থাকে, তা থেকে চারা তৈরি করা যায়। তবে নাগলিঙ্গম বাড়ে ধীরে। তা সত্ত্বেও বর্ণে, গন্ধে, উজ্জ্বলতায় তরুরাজ্যে অনন্য নাগলিঙ্গম ছাড়া বড় কোনো বাগান পরিপূর্ণ হয় না বলেই মন্তব্য করেছেন দ্বিজেন শর্মা। রমনা নার্সারিতে এ বছর নাগলিঙ্গমের বেশকিছু চারা তৈরি করেছেন উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের জিয়াউল হাসান। তিনি জানালেন, আগ্রহী ব্যক্তিরা এখান থেকে চারা সংগ্রহ করতে পারবেন।
রমনা উদ্যানে যাঁরা সকাল-বিকেল হাঁটতে যান, নাগলিঙ্গম তাঁদের নজর এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়। কারণ এটি একেবারেই আলাদা। যজ্ঞডুমুর বা লটকন যেমন গাছের কাণ্ড ফেটে বের হয়ে সারা কাণ্ড ছেয়ে ফেলে, নাগলিঙ্গমও তা-ই। পার্থক্য হলো, এর ফলগুলো আকারে অনেক বড়, দেখতে কামানের গোলার মতো। সে কারণেই ক্যাননবল নাম। তবে ফল নয়, নাগলিঙ্গম দৃষ্টি কাড়ে তার ফুলের সৌন্দর্যের কারণে। আকারে এটি যেমন বড়, রূপে তেমনি নয়নাভিরাম, সৌরভে মনোহরা। গ্রীষ্মের ফুল। ফুটতে শুরু করে বসন্তের শেষ থেকে। অনেক দিন ধরে ফোটে, প্রায় শরৎ পর্যন্ত।
নাগলিঙ্গমের বেশ কয়েকটি গাছ আছে রমনা উদ্যানে। পশ্চিমে উদ্যান নার্সারির সামনে, এলিজাবেথ মঞ্চের পুবে ও পশ্চিমে, রমনা রেস্তোরাঁর পুব পাশে, কিছুক্ষণ চত্বরে এসব গাছ এখন প্রায় গোড়া থেকে পুরো কাণ্ড ফুলে ফুলে ভরা। সকালে হাঁটতে গিয়ে সৌরভে বাতাস আকুল করা নাগলিঙ্গমের তলা দিয়ে যাওয়ার সময় তার শোভা পুষ্পানুরাগীদের খানিকক্ষণ থামিয়েও দিতে পারে।
নাগলিঙ্গমের সৌন্দর্যে অভিভূত উদ্ভিদবিজ্ঞানী দ্বিজেন শর্মা তাঁর শ্যামলী নিসর্গ বইয়ে লিখেছেন, ‘আপনি বর্ণে, গন্ধে, বিন্যাসে অবশ্যই মুগ্ধ হবেন। এমন আশ্চর্য ভোরের একটি মনোহর অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই অনেক দিন আপনার মনে থাকবে।’ তিনি জানাচ্ছেন, নাগলিঙ্গমের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার উষ্ণ অঞ্চলে। বৈজ্ঞানিক নাম Couroupita guianensis। নাগলিঙ্গম আমাদের দেশে বেশ দুর্লভ। ঢাকায় রমনা উদ্যান ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং তেজগাঁওয়ের কৃষি কলেজ চত্বরে কয়েকটি গাছ আছে।
পৃথিবীর অপর পিঠের দেশটি থেকে এই নয়নমনোহর ফুলের গাছটি কবে, কেমন করে এ অঞ্চলে এসেছিল, ভারতবর্ষের কোথায় তার জন্ম হলো প্রথম, সেসব রহস্য উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের কাছেও দুর্ভেদ্য। এখানে এর নাগলিঙ্গম নাম হয়েছিল সাপের ফণার মতো বাঁকানো পরাগচক্রের কারণে।
উজ্জ্বল গোলাপি রঙের ফুল। পাপড়ি ছয়টি। বসন্তে যেমন শিমুল গাছতলা ঝরা ফুলে ভরে থাকে, নাগলিঙ্গমের তলাও তেমনি এর অজস্র পাপড়িতে ছেয়ে থাকে। প্রকাণ্ড বৃক্ষ। পাতা লম্বা, ডগা সুচালো। শাখার সঙ্গে প্রায় লেগে থাকে। কাণ্ড ধূসর। ফুলের সৌরভ মন মাতালেও গাঢ় বাদামি রঙের ফলগুলো পেকে যখন খসে পড়ে, তখন সেগুলো পচে কটু গন্ধ ছড়ায়।
ফলে অজস্র বীজ থাকে, তা থেকে চারা তৈরি করা যায়। তবে নাগলিঙ্গম বাড়ে ধীরে। তা সত্ত্বেও বর্ণে, গন্ধে, উজ্জ্বলতায় তরুরাজ্যে অনন্য নাগলিঙ্গম ছাড়া বড় কোনো বাগান পরিপূর্ণ হয় না বলেই মন্তব্য করেছেন দ্বিজেন শর্মা। রমনা নার্সারিতে এ বছর নাগলিঙ্গমের বেশকিছু চারা তৈরি করেছেন উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের জিয়াউল হাসান। তিনি জানালেন, আগ্রহী ব্যক্তিরা এখান থেকে চারা সংগ্রহ করতে পারবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন