তারকি রহমান সৌরভ
আজ ১৮ ম,ে আর্ন্তজাতকি জাদুঘর দবিস। বশ্বিরে অন্যান্য দশেরে মতো বাংলাদশেওে এই দনিটি বভিন্নি র্কমসূচীর মাধ্যমে উদ্্যাপন করা হয়। এই বছর আর্ন্তজাতকি জাদুঘর দবিসরে সােগান- গঁংবঁস রহ ধ পযধহমরহম ড়ৎিষফ, হবি পযধষষবহমবং, হবি রহংঢ়রৎধঃরড়হং. এতদঞ্চলে জাদুঘর কখন কোথায় কভিাবে প্রথম প্রতষ্ঠিতি হলো সে বষিয়ে পাঠকদরে অবহতি করা দরকার। বাংলায় জাদুঘররে ধারণা এসছেে ব্রটিশিদরে মাধ্যম।ে শুধু বাংলায় কনে, গোটা ভারত উপমহাদশেে জাদুঘররে ইতহিাসরে সূচনা ১৭৯৬ সালরে দকি।ে ভারতীয় এশয়িাটকি সোসাইটরি সদস্যগণ এই উদ্যোগ প্রসাররে ক্ষত্রেে প্রধান ভূমকিা পালন করনে। তারা জাততিাত্ত্বকি, প্রততাত্ত্বকি, ভূ-তাত্ত্বকি এবং প্রাণীবষিয়ক নমুনা সংগ্রহ এবং সগেুলোকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং প্রর্দশনরে ব্যাপারে উদ্যোগী হন। র্লড ওয়ারনে হস্টেংিস, যনিি এশয়িাটকি সোসাইটরি পৃষ্ঠপোষক ছলিনে, তনিি কলকাতার র্পাকস্ট্রটিে একখ- জমরি ব্যবস্থা করনে এবং ১৮০৮ সালে এই ভবন নর্মিাণ শষে হয়। এই প্রক্রয়িায় ১৮১৪ সালে উপমহাদশেরে প্রথম জাদুঘর ‘এশয়িাটকি সোসাইটি মউিজয়িাম’-এর জন্ম ও প্রতষ্ঠিা হয়।
১৯১০ সালরে এপ্রলিে দঘিাপতয়িা রাজপরবিাররে র্সাবকি পৃষ্ঠপোষকতায় শরৎকুমার রায়রে উদ্যোগে প্রতষ্ঠিতি ‘বরন্দ্রে গবষেণা জাদুঘর’ হচ্ছে বাংলাদশেরে প্রথম জাদুঘর। ইতহিাস র্চচা একটি জাতরি এগয়িে চলার পরচিায়ক। ইতহিাস অতীতকে তুলে ধর।ে ইতহিাস তো মানুষরেই ইতহিাস। এর নপেথ্যে সঞ্চালক তো মানুষই। মহাকলরে মানুষ জীবন্ত হয়ে ওঠে তার রখেে যাওয়া বস্তু সংস্কৃতরি মাঝ।ে অতীত ও র্বতমানরে সতেুবন্ধন জাদুঘর। বভিন্নি ক্যাটাগররি জাদুঘর রয়ছেে আমাদরে দশেওে। জাততিাত্ত্বকি, প্রাকৃতকি, বজ্ঞিান ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে জাদুঘর ভন্নি উদ্দশ্যেে প্রতষ্ঠিতি হলওে এসব জাদুঘররে লক্ষ্য কন্তিু অভন্নি। তা হলো ইতহিাস, ঐতহ্যি ও সংস্কৃতরি গৌরব র্বতমান ও ভবষ্যিত প্রজন্মকে অবহতি করা এবং এর লক্ষ্য ও উদ্দশ্যেরে সাথে জনগণকে সমন্বতি করা। র্কীতমিানদরে র্বণাঢ্য জীবন ও র্কমরে উজ্জ্বল স্মৃতি ধরে রাখার জন্য যসেব জাদুঘর গড়ে উঠছেে এগুলোর বশিষে এক ঐতহিাসকি এবং সাংস্কৃতকি মূল্য থাক।ে বাংলাদশেে এই বশৈষ্ট্যিরে কয়কেটি জাদুঘর সরকারী ও বসেরকারীভাবে প্রতষ্ঠিা লাভ করছেে বগিত দুই দশক।ে যমেন ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, চট্টগ্রামে জয়িা স্মৃতি জাদুঘর, সলিটেে ওসমানী স্মৃতি জাদুঘর, ময়মনসংিহে নজরুল স্মৃতি জাদুঘর, শলিাইদহরে রবীন্দ্র জাদুঘর। সবচয়েে আশার কথাটি হচ্ছÑে ওই অঞ্চলে জাদুঘর প্রতষ্ঠিার শতর্বষে ঢাকা শহরে ব্যক্তগিত উদ্যোগে কছিু উল্লখেযোগ্য জাদুঘর প্রতষ্ঠিা লাভ করছেে বগিত এক দশক।ে ব্যক্তগিত উদ্যোগে প্রতষ্ঠিতি জাদুঘরসমূহরে মধ্যে উল্লখেযোগ্যÑ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর (ধানমণ্ডি বত্রশি নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়তিে ১৯৯৪ সালে প্রতষ্ঠিতি), মুক্তযিুদ্ধ জাদুঘর (ঢাকার সগেুনবাগচিায় ১৯৯৬ সালে প্রতষ্ঠিতি), বাঙালীসমগ্র জাদুঘর (ঢাকার এলফ্যিান্ট রোডে ২০০৪ সালে প্রতষ্ঠিতি), জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর (২০০৭ সালে এলফ্যিান্ট রোডে শহীদ জননীর বাড়রি একটি ফ্লোরে স্থাপতি)। ঢাকার এলফ্যিান্ট রোডে সর্ম্পূণ ব্যক্তগিত উদ্যোগে প্রতষ্ঠিতি বাঙালীসমগ্র জাদুঘর সর্ম্পকে পাঠকদরে এবারে কছিু জানাতে চাই। ২০০৪ সালরে ১০ ফব্রেুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনরে বায়ান্নতম বছরে বাঙালীর ইতহিাস, ঐতহ্যি, শল্পি ও সংস্কৃতরি বভিন্নি ধারাকে সমৃদ্ধ করতে যে সকল র্কীতমিান বাঙালী বশিষে অবদান রখেছেনে তাঁদরে সৃষ্টি ও র্কম সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও স্থায়ী প্রর্দশনরে লক্ষ্যে ২৩৫/২ এলফ্যিান্ট রোডস্থ খায়রে ম্যানশন ভবনে এই জাদুঘর তার যাত্রা শুরু কর।ে চলতি বছর নবম র্বষে পর্দাপণ করছেে এই জাদুঘরট।ি বগিত আট বছরে বাঙালীসমগ্র জাদুঘর দশে-বদিশেরে সুধীজনরে দৃষ্টি আর্কষণ করছেে এবং তাঁরা এই প্রয়োজনীয়তার বষিয়ে তাঁদরে অভমিতও ব্যক্ত করছেনে। পাঁচটি প্রকাশনা, ষাটটি র্দুলভ স্মারক, সমাজরে বভিন্নি ক্ষত্রেরে প্রয়াত ষাটজন বশিষ্টি বাঙালীর র্পোট্রটে রয়ছেে এই জাদুঘর।ে আরও রয়ছেে বভিন্নি সময়রে ঐতহিাসকি আলোকচত্রি, র্দুলভ সংবাদপত্র, চল্লশি, পঞ্চাশ ও ষাটরে দশকরে প্রকাশতি উল্লখেযোগ্য সাহত্যিরে প্রথম সংস্করণরে কছিু দুষ্প্রাপ্য কপ।ি প্রতষ্ঠিালগ্ন থকেে সমাজরে বভিন্নি ক্ষত্রেে বশিষ্টি বাঙালীর জীবন ও র্কমভত্তিকি সাক্ষাতকারমূলক পনরেোটি তথ্যচত্রি নর্মিতি হয়ছে।ে প্রায় দুই হাজার বই নয়িে গড়ে উঠছেে বাঙালীসমগ্র জাদুঘররে গ্রন্থাগার।
িি.নিধহমধষবংযধসধমৎধ.ড়ৎম বাঙালীসমগ্র জাদুঘররে ওয়বেসাইটে দশে ও বদিশেরে বভিন্নি স্থানে ছড়য়িে তাকা শকেড় সন্ধানী, সংস্কৃতপ্রিমেী বাঙালী প্রতনিয়িত যোগাযোগ ও মতামত পাঠাচ্ছনে উদ্যোক্তাদরে কাছ।ে বাঙালীসমগ্র জাদুঘররে উপদষ্টো পরষিদে রয়ছেনে অধ্যাপক আবদুল কাইউম, অধ্যাপক আনসিুজ্জামান, নাট্যব্যক্তত্বি আতকিুল হক চৌধুরী, সাহত্যিকি সলেনিা হোসনে, এ্যাডভোকটে সুলতানা কামাল, অধ্যাপক সয়ৈদ আনোয়ার হোসনে, সয়ৈদ মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ। এই ভূখণ্ডে বসবাসকারী র্কীতমিান বাঙালীর আবাসগৃহ ও র্কমস্থলসমূহকে ‘ঐতহ্যি-আবাস’ বা ‘হরেটিজে হোমস্ ঘোষণা করে র্বতমান ও ভবষ্যিত প্রজন্মরে জন্য সংরক্ষণ, চাকমা, গারো, সাঁওতালসহ এই দশেে প্রচলতি আদবিাসীদরে ভাষাসমূহ যা এখন র্আথ-সামাজকি কারণে র্চচার অভাবে বলিুপ্ত হতে চলছেে সগেুলো সংরক্ষণ, বাংলা সাহত্যিরে যশস্বী কবি ও সাহত্যিকিদরে সরো রচনাগুলো ইংরজেী, ফারসী ভাষায় অনুবাদ, বাঙালীর ইতহিাস, ঐতহ্যি ও সংস্কৃতরি বভিন্নি শাখায় গবষেণার জন্য সহায়তা প্রদান বাঙালীসমগ্র জাদুঘররে এই সময়কার কাজসমূহরে মধ্যে অন্যতম। ঢাকার এলফ্যিান্ট রোডে দুই হাজার র্বগফুট স্থানে বাঙালীসমগ্র জাদুঘর তার সামগ্রকি কাজ-র্কমরে র্পূণতা দানে সক্ষম নয়। বাঙালীসমগ্র এখনও সমগ্র বাঙালীর অংশ মাত্র হয়ে আছ,ে একে সমগ্রে পরণিত করার দায়ত্বি সরকাররে।
লখেক : নর্বিাহী পরচিালক, বাঙালীসমগ্র জাদুঘর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন