সোমবার, ২৮ মে, ২০১২

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়



আজ প্রখ্যাত ভাষাবিজ্ঞানী সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুদিবস। জন্ম শিবপুর, হাওরা, ২৬ নভেম্বর, ১৮৯০ সাল। ইংরেজের সওদাগরি অফিসের কেরানি হরিদাস চট্টোপাধ্যায় তার পিতা। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। মতিলাল শীল ফ্রি স্কুল থেকে ১৯০৭ সালে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে ২০ টাকা বৃত্তি লাভ করেন। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে তৃতীয় স্থান অধিকার করে এফএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯১১ সালে ইংরেজিতে অনার্সসহ প্রথম স্থান অধিকার করে বিএ পাস করেছিলেন। ১৯১৩ সালে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে ইংরেজিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর কলকাতা বিদ্যাসাগর কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক নিযুক্ত হন। পরের বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিয়ে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯১৮ সালে সংস্কৃতের শেষ পরীক্ষায় পাস এবং প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি ও জুবিলি গবেষণা পুরস্কার অর্জন করেন। ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৯১৯ সালে ধ্বনিতত্ত্ব সম্পর্কে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদেশ যান এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধ্বনিতত্ত্বে ডিপ্লোমা লাভ করেন। ১৯২১ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ‘ইন্দো-আরিয়ান ফিলোলজি’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনা করে ডি-লিট উপাধি পেয়েছিলেন। ১৯২২ সালে দেশে ফিরে এলে স্যার আশুতোষ তাকে ভারতীয় ভাষাতত্ত্বের ‘খয়রা’ প্রফেসর নিযুক্ত করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৩০ বছর এ পদে কর্মরত ছিলেন। বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে The Origin and Development of the Bengali Language গ্রন্থখানি রচনা করে অসাধারণ বিদ্যাবত্তার পরিচয় দেন। ১৯৫২ সালে ইমেরিটাস প্রফেসর নিযুক্ত হন। ১৯৩৬ সালে রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে ভারত সরকারের পদ্মবিভূষণ উপাধি পান। ১৯৬৬ সালে জাতীয় অধ্যাপকের সম্মান লাভ করেন। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : The Origin and Development of the Bengali Language, Bengali Phonetic Reader. কিরাত জনকৃতি, ভারত-সংস্কৃতি, বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা, পশ্চিমের যাত্রী, ইউরোপ ভ্রমণ, জাতি সংস্কৃতি সাহিত্য, ভারতের ভাষা ও ভাষা সমস্যা, সংস্কৃতি কী, দ্বীপময় ভারত, রবীন্দ্রসঙ্গমে, শ্যামদেশ ইত্যাদি। মৃত্যু, কলকাতা, ২৯ মে, ১৯৭৭ সাল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন