শনিবার, ১৯ মে, ২০১২

২৫০০ সাল সোস্যাল ফকিশন




ড. আবুল আজাদ
ইংরজেী খ্রস্টিাব্দরে সহস্রতম সলিভার জুবলিী উৎসব আজ ১ জানুয়ারি ২৫০০ সাল। আড়াই সহস্রাব্দ এবং বছররে প্রথম দনিরে এই সোনালি সকালে অর্পূব দখোচ্ছে ঢাকা শহরক।ে র্দীঘদনি পর ইউরোপরে ফ্রাঙ্কর্ফুট থকেে আবুধাবী, বোম্ব,ে কলকাতা হয়ে ঢাকায় এসছে।ি কলকাতার যাদবপুর বশ্বিবদ্যিালয়রে সাড়ে চার শ’ বছর র্পূতি উপলক্ষে আয়োজতি অনুষ্ঠানরে আমন্ত্রণ পয়েইে ওখানে যাওয়া। আমার এক র্পূবপুরুষ ঐ বশ্বিবদ্যিালয়রে এলামনাই ছলিনে। তাই ওরা আমাকে আমন্ত্রণ জানায়। ঐ অনুষ্ঠান সরেে সড়কপথে ট্রনেে ঢাকা। সময় লগেছেে মাত্র ৩০ মনিটি। চার-পাঁচ শ’ বছর আগে নাকি আট থকেে বারো ঘণ্টা সময় লাগত। এখন অবশ্য সময় কম লাগার কারণে ঢাকা-কলকাতা কউে আর আকাশ পথে যাতায়াত করে না। 
খ্রস্টিাব্দরে সহস্রতম সলিভার জুবলিী উৎসব উপলক্ষে সারা পৃথবিীতইে নানা র্কমসূচী উদ্যাপতি হচ্ছ।ে এশয়িাতওে এ উপলক্ষে নয়ো হয়ছেে নানা উদ্যোগ। যা ইতোমধ্যইে বশ্বিবাসীর নজর কড়েছে।ে এর অন্যতম কারণ, বশ্বি র্অথনীততিে এশয়িার অবস্থান। এশয়িা এখন তার সব দশেকে নয়িে এক সঙ্গে হাঁটছ।ে এক সময় নাকি এই মহাদশেরে দশেগুলোর মধ্যে সদ্ভাব ছলি না। ভারত ও পাকস্তিান নামক দশে দু’টি দাবংিশ শতকরে শুরুতে পারমাণবকি যুদ্ধে লপ্তি হয়ে ধ্বংস হয়ে গয়িছেলি। তাদরে ঘুরে দাঁড়াতে সময় লগেছেে দুই শ’ বছর।
ঢাকা এখন চার স্তরবশিষ্টি শহর। প্রথম স্তর মাটরি নচি।ে দ্বতিীয় থকেে চর্তুথ স্তর মাটরি উপর।ে ফ্লাইওভাররে লভেলেরে ওপর এই স্তরগুলো নর্ভির কর।ে অবশ্য ১০০-১৫০ তলা ভবনরে সংখ্যা অগণতি। চলার পথে কোথাও ক্রসংি নইে। সব আন্ডার পাস অথবা ফ্লাইওভাররে নয়িন্ত্রণ।ে এই শহররে ব্যস্ততম মানুষরে জন্য যাতায়াত ব্যবস্থার সবচয়েে উপাদয়ে বাহন হচ্ছে হলেকিার। সারাদশেইে হলেকিাররে নটেওর্য়াক বস্তিৃত। যারা সম্পদশালী তারাও এখন আর প্লনে বা হলেকিপ্টার ব্যবহার করনে না। হলেকিারে চলাচল করনে। এই বাহনটি বাংলাদশেরে দাবংিশ শতকরে বজ্ঞিানীদরে আবষ্কিার। মূলত এটা হচ্ছে ডানাওয়ালা প্রাইভটেকার ধরনরে বাহন। পৃথবিীর বভিন্নি দশেে বদ্যিুত ব্যবস্থা এখনও মাটরি উপরে থাকলওে তনি শ’ বছর আগইে ঢাকার বদ্যিুত ব্যবস্থা আন্ডার গ্রাউন্ড সস্টিমেে উন্নীত হয়। সজেন্য ফ্লাইওভাররে টপফ্লোর থকেে হলেকিার অনায়াসে চলাচল করতে পার।ে
ঢাকায় উঠছেি হোটলে সোনার বাংলায়। সকালে ঘুম ভঙ্গেছেে রুমরে লাউড স্পীকারে হালকা সুরে রাগধ্বনি শুন।ে তারপরই বজিয়রে গান-জয় বাংলা, বাংলার জয়.......। আমার ঢাকায় বশে কছিু আত্মীয়স্বজন আছ।ে আথত্যি-সংস্কৃতি বাঙালী এখনও আন্তরকিভাবে ধরে রাখলওে আমি এবার এসছেি টানা ২৫ দনিরে ছুটি নয়ি।ে তাই এত র্দীঘ সময় আত্মীয়স্বজনকে বরিক্ত না করার সদ্ধিান্ত থকেইে হোটলেে ওঠা।
রুম র্সাভসি ব্রকের্ফাস্ট দয়িে গলে একটা ময়ে।ে খােঁপায় কনকচাপা গােঁজা আটপৌরে ধরনরে লাল পাড় হলুদ শাড়ি পরা ময়েটেরি নাম যমুনা। বলেরে শরবত, দই, চড়িা, খই, আখরে গুড়, নারকলে, কলা, ডমি পোচ আর বাখরখান।ি এই বাখরখানরি কথা বশি শতকরে ইতহিাসবদি মুনতাসীর মামুনরে লখোয় পড়ছেলিাম। পরর্বতী ইতহিাস থকেে মুঘলদরে এই সুখাদ্যটি হারয়িে গলেওে এখন অবশ্য আবার ঢাকায় পাওয়া যাচ্ছ।ে
যুমনা এসে জানাল হোটলেরে ৭ নম্বর লবতিে আমার জন্য হলেকিার অপক্ষো করছ।ে সোনার বাংলা হোটলেটা ১০০ তলা। প্রতি দশ তলা অন্তর একটি লবি আছ।ে আমার রুমটি পড়ছেে ৭১ তলায়। ৭ নম্বর লবি কাছইে, হঁেটে যাওয়া যাব।ে যমুনা আমাকে হলেকিাররে দরজা র্পযন্ত এগয়িে দয়িে চলে গলে। কছিুটা পথ গাড়রি মতো চলার পর ফ্লাইওভাররে টপ ফ্লোর থকেে আমাদরে বাহন উড়তে লাগল। যে দকিে চোখ যায়, সব ঝকঝকে দৃশ্য। নগর নদী আর প্রকৃত।ি ঢাকায় এখন লোকসংখ্যা পাঁচ কোটি আর বাংলাদশেরে লোকসংখ্যা ৭০ কোট।ি তারমধ্যে অবশ্য ১০ কোটি বাঙালী এখন বশ্বিরে বভিন্নি দশেে বসবাস কর।ে ঢাকা শহররে নগরায়ণটাও হয়ছেে অত্যন্ত পরকিল্পতিভাব।ে বশ্বিরে যে কোন শহর এমনকি ভয়িনো, অটোয়া, মলের্বোন, প্যারসি আর লন্ডন কলকাতার চয়েওে কোন অংশে কম নয়। দশেরে ১৫০ জলোর মধ্যে ২৫টি জলো নয়িে ঢাকা মউিনসিপ্যিাল অথরটি।ি গোপালগঞ্জ, মানকিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমল্লিা এই র্কপােরশেনরে অর্ন্তভুক্ত। বৃহৎ এই র্কপােরশেনটি ৫টি জোনে ভাগ করা আছ।ে 
ঢাকার জীবনরে উপরি কাঠামো যান্ত্রকি হলওে বাঙালী এখনও তার আদি ঐতহ্যির্পূণ সামাজকিতাকে ভোলনে।ি খ্রস্টিাব্দরে সহস্রতম সলিভার জুবলিী বাঙালীর নজিস্ব উৎসব না হলওে এই আর্ন্তজাতকি উৎসবকে র্মযাদার্পূণভাবে উদ্যাপন করতে কোনভাবইে র্কাপণ্য করনে।ি ফ্লাইওভার, টানলে, আন্ডারপাস, মট্রেোট্রনে, নদীবন্দর, এয়ারর্পোট সব জায়গাতইে এ উপলক্ষে ব্যাপক সাজসজ্জার আয়োজন করা হয়ছে।ে কলজে বশ্বিবদ্যিালয়রে ছলেমেয়েরো রাস্তার পাশে নানা র্বণরে ব্যানার ফস্টেুন আর বলেুন নয়িে ঠায় দাঁড়য়িে আছ।ে কারণ এই শহরে এখন বাড়ি ঘররে দয়োল-েরাস্তাঘাটে পোস্টার ব্যানার লাগানো নষিদ্ধি। ছলে-েময়েরো এই কাজটা র্পাটটাইম জব হসিবেে কর।ে 
বাংলাদশেরে মানুষ সইে আদকিাল থকেইে র্ধমপ্রাণ। একবংিশ শতাব্দী র্পযন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকলওে এই শতকরেই শষে দকিে এসে মানুষ র্ধমর্চচার পাশাপাশি অধকি হারে বজ্ঞিানমনস্ক হয়ে পড়।ে তার র্অথ এই নয় যে ঢাকার মসজদি, মন্দরি ও গর্জিাগুলো অপসারণ করা হয়ছে।ে আছে সবই। তবে এখন এগুলো র্ধমীয় কালচারাল সন্টোর হসিবেে কাজ কর।ে আগ্রহীরা এসব সন্টোরে গয়িে র্ধমীয় আনুষ্ঠানকিতা পালন এবং র্ধম সর্ম্পকে জ্ঞান লাভ কর।ে
মূলত ঊনবংিশ থকেে একবংিশ শতকরে মধ্যে মানুষ বজ্ঞিানরে উৎর্কষ সাধনে সক্ষম হয়। মহাকাশ বজ্ঞিানরে ধারণার ক্ষত্রেওে এ সময় যুগান্তররে সূচনা ঘট।ে বজ্ঞিানী এরস্টিোকাস প্রচলতি র্ধমমতকে অস্বীকার করে র্সূয ও চন্দ্র গ্রহণরে ধারণা উপস্থাপন করনে। আধুনকি বজ্ঞিানরে প্রবক্তা গ্যাললিওি বলনে র্সূয নয়, পৃথবিী র্সূযরে চারদকিে ঘোর।ে এজন্য র্ধমর্কতারা গ্যাললিওিকে মৃত্যুদ-ে দ-তি করনে। গ্যাললিওি তখন তার কথা ফরিয়িে নয়িে মৃত্যুদ-রে হাত থকেে রক্ষা পান। বংিশ শতাব্দীর মাঝামাঝি এলর্বাট আইনস্টাইন পর্দাথবজ্ঞিানরে ধারণায় সূচক নর্মিাণ করে বশ্বিকে এক নতুন বজ্ঞিান ও আবষ্কিাররে দ্বারপ্রান্তে উপনীত করনে। একবংিশ শতকরে সূচনাকালে বজ্ঞিানী স্টফিনে হকন্সি বশ্বিবাসীকে এক নতুন বজ্ঞিানরে কথা বলনে। আর সইে বজ্ঞিানটি হচ্ছে ‘বগিব্যাং তত্ত্ব’। এই তত্ত্ব অনুসারে বগিব্যাং হচ্ছে একটি মহাকৃষ্ণ গহবর। এই কৃষ্ণগহ্বর থকেইে সৌরজগতরে সৃষ্ট।ি আর সইে সৌরজগতরেই এক বস্মিয়কর পরণিতি হচ্ছে পৃথবিী।
হকন্সিরে বশ্বিসমত,ে এই পৃথবিী-সৌর জগত ও মহাবশ্বি নজিইে সৃষ্টি হয়ছে।ে এখানে ভাগ্য বলে কছিু নইে। আর যে বগিব্যাং থকেে সব কছিুর শুরু সইে বগিব্যাং এ কোন সময় ছলি না। অতীতে ফরো এবং ভবষ্যিতে যাওয়ারও কোন ধারণা ছলি না। তাই কোন সৃষ্টর্কিতারও তখন আবর্ভিাব ঘটনে।ি সৃষ্টর্কিতার ধারণাটি গ্রহণ করছেে পৃথবিীর মানুষ বড়জোর ৭ হাজার বছর। অথচ ঐতহিাসকিভাবে স্বীকৃত য,ে পৃথবিীর বয়স প্রায় ৬৫০০ কোটি বছর। ৫০ লাখ বছর আগে মানুষ প্রথম দু’পায়রে ওপর ভর করে হাঁটতে শখে।ে আর আধুনকি মানবসভ্যতার বয়স ১৫ লাখ বছর। কনেনা, আদমি মানবজাতি সভ্যতার ঊষালগ্নে প্রথম রান্না করে খতেে শখেে ১৫ লাখ বছর আগ।ে এই র্দীঘ সময়রে কাছে ৭ হাজার বছর কছিুই না। আর এই ৭ হাজার বছর বাদ দলিে ১৫ লাখ বছররে বাকি সময়টা কন্তিু মানুষ ‘মহান সৃষ্টর্কিতা’ ও ‘ঈশ্বর’ তত্ত্বরে বাইরইে কাটয়িে দয়িছে।ে তাই বলে বজ্ঞিানী হকন্সি কন্তিু মানুষরে র্ধমবশ্বিাসকে অস্বীকার করনেন।ি তনিি বলনে, মানবদহেরে পরকিাঠামোতে বশ্বিাস নামক শক্তটিরি একটি অবস্থান আছ।ে যে যাতে বশ্বিাস করে তাতইে পরতিৃপ্ত হওয়ার একটি মানসকি অবস্থা তরৈরি অপরমিয়ে উৎস ভা-ার হচ্ছে মানবদহে। তাই মানুষ র্ধম বশ্বিাসে আস্থাবান হতইে পার।ে তাছাড়া বজ্ঞিান তো র্ধমকে অস্বীকার করে না। শুধুমাত্র নতুন বকিল্পরে সন্ধান দয়ে। বাস্তবতা হচ্ছ,ে আজকরে পৃথবিীর মানুষ বশ্বিাস করে য,ে সৃষ্টি চক্ররে নয়িম বলে যদি কছিু থাকে তাহলো প্রকৃতরি নয়িম। তাই খ্রস্টিাব্দরে এই সহস্রতম সলিভার জুবলিী লগ্নে লক্ষ্য করছ,ি শুধু বাংলাদশে নয়, সারা পৃথবিীতইে মানুষ বজ্ঞিানর্চচায় অধকিমনস্ক হয়ে পড়ছ।ে র্ধম ধারণা সূচনার পর থকেে মানুষরে মধ্যে র্দীঘ সময়ব্যাপী পর র্ধম বদ্বিষে কাজ করলওে এখনকার বশ্বিরে মানুষরে বদ্বিষে ও র্ঈষার পছেনে সময় ব্যয় করার মতো সময় নইে। কারণ র্বতমানে বাংলাদশেরে মানুষরে গড় আয়ু একশত বছর। এজন্য প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর তাকে এক বছররে জন্য ল্যাবরটেরতিে থাকতে হয়। এটাকে মানবদহেরে মনেটনেন্সে র্সাভসিংি পরিয়িড বল।ে সজেন্য শক্ষিা, কাজ, উর্পাজন, অন্বষো, উপভোগ এগুলোই র্বতমান বশ্বিরে মানুষরে জীবন যাপন পদ্ধতরি ৫টি মৌলকি স্তম্ভ হসিবেে স্বীকৃতি লাভ করছে।ে বশ্বি সভ্যতার ইতহিাসে লক্ষ্য করা যায় প্রতটিি সভ্যতাই র্সবােচ্চ ১ লাখ বছররে মধ্যে বলিুপ্ত হয়ে গছেে এবং পরর্বতী ১ লাখ বছররে মধ্যে আবার আরকেটি সভ্যতার উদ্ভব বকিাশ ও পরসিমাপ্তি ঘটছে।ে আমাদরে র্বতমান সভ্যতার বয়স র্অধলক্ষরে কাছাকাছ।ি সমগ্র বশ্বিরে বজ্ঞিানীরা আজ এই সভ্যতা প্রাকৃতকি র্দুযােগ অথবা মহাজাগতকি কোন র্দুঘটনায় বলিুপ্তরি সময় অত্যাসন্ন বলে মনে করছনে। তাই রাতদনি কাজ করছনে তারা এই অশনি র্দুযােগ মোকাবলিার লক্ষ্য।ে
মহাবশ্বি অবরিাম সম্প্রসারণরে ফলে অনন্ত মহাকাশরে নক্ষত্রপুঞ্জ আমাদরে সৌরজগত থকেে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছ।ে ফলে বায়ুম-লরে অশুভ পুচ্ছ, ধ্বংসপ্রাপ্ত কৃষ্ণগহ্বররে জ্বলন্ত পাথর খ- আর সৌরম-লরে গ্রহসমূহ থকেে নক্ষিপ্তি লাভাস্রোতরে অবশষ্টিাংশ পৃথবিীতে এসে পড়ার ফলে মহার্দুযােগরে আশঙ্কটা দনি দনি বাড়ছ।ে এই অনশ্চিতি ভবষ্যিত যাত্রার হাত থকেে মানব সভ্যতাকে রক্ষার একমাত্র উপায় এখন অব্যাহত বজ্ঞিানর্চচা এবং বজ্ঞিানরে জ্ঞান ভা-ারকে সমৃদ্ধ করা। মানুষ এখন বশ্বিাস করে কোন তত্ত্ব দয়িে এই পৃথবিীকে রক্ষা করা যাবে না। প্রকৃতরি নয়িম এবং মহাকাশরে আপন সৃজন শক্ততিইে পৃথবিী বদলায়।
এক সময় পাসর্পোট নামক একটা অদ্ভুদ বস্তু ছলি। ছোট্ট একটি বই আকৃতরি এই বস্তুটি এক দশে থকেে আরকে দশেে যাওয়ার সময় সীমান্ত প্রহরীদরে কাছে প্রর্দশন করতে হতো। সীমান্তরে উভয় দশেরে প্রহরীরা ঐ পাসর্পোট নামক বস্তুটতিে দু’চারটে সলি-ছাপ্পর মারার পর মানুষ অনায়াসে এক দশে থকেে আরকে দশেে যাতায়াত করতে পারত। এখন অবশ্য এধরনরে অসম্মান ও হয়রানমিূলক কোন প্রথাই চালু নইে। মানুষ এখন এক বশ্বিরে নাগরকি। এ সব কাজে সময় নষ্ট করাকে মানুষ খুব ক্ষতকির কাজ এবং সময়রে অপচয় বলে মনে কর।ে
আমরা অনুষ্ঠানস্থলরে প্রায় কাছাকাছি চলে এসছে।ি বঙ্গবন্ধু সটিি স্টডেয়িামে অনুষ্ঠানরে আয়োজন করা হয়ছে।ে এই সটিরি আদনিাম টুঙ্গপিাড়া। বাঙালি জাতরি জনক বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমানরে জন্মস্থান এই টুঙ্গপিাড়া। তাঁর সমাধস্থিলও এই শহরইে। বংিশ শতকরে ৭১ সালে বাংলাদশেকে স্বাধীন করার মাত্র ৪ বছররে মাথায় কছিু পথভ্রষ্ট বদিশেী এজন্টে এই মহামানবকে সপরবিারে নর্মিমভাবে হত্যা করছেলি। এই কলঙ্ক মোচনরে জন্য অনকে স্মৃতচিহ্নি ও স্থাপনা নর্মিাণ করলওে তা যথষ্টে না ভবেে ২১১৭ সালে সরকার টুঙ্গপিাড়াকে বঙ্গবন্ধু সটিি ঘোষণা কর।ে পরর্বতী ১০০ বছররে মধ্যইে বঙ্গবন্ধু সটিি র্ফাস্ট ক্যাপটিালরে র্মযাদা পায় এবং রাজধানী ঢাকার অর্ন্তভুক্ত হয়।
এত বড় একটি অনুষ্ঠানে খুব বশেি লোক সমাগম হয়ন।ি সব মলিয়িে হাজারখানকে। এশয়িার প্রত্যকে দশে থকেে প্রতনিধিরিা এসছেনে। আর দশেরে ১৫০ জলোর প্রতনিধিরিাও আছনে। তনি-চার শ’ বছর আগওে বাংলাদশেরে ভূখ-রে পরমিাণ ছলি এক লাখ পঞ্চান্ন হাজার র্বগমাইল। এখন সাড়ে চার লাখ র্বগমাইল। সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম এবং মংলা এখন বাংলাদশেরে মধ্যর্বতী শহর। সমুদ্র এখন চট্টগ্রাম আর মংলা থকেে সরে গছেে দুই শ’ মাইল দূর।ে যা র্বতমান প্রজন্ম বশ্বিাস করতে চায় না। একইভাবে ৫০০ বছর আগওে মানুষ বশ্বিাস করত না যে রাজধানী ঢাকার অর্ন্তভুক্ত জলো শহর কুমল্লিাও এক সময় ছলি সমুদ্র বন্দর। কুমল্লিার ময়নামতি পাহাড়ে প্রতœতাত্ত্বকিরা নৌযান ও মাছরে ফসলি উদ্ধার করে এর সত্যতা নরিূপণ করছেনে।
রাত বারোটা এক মনিটিে শুরু হলো খ্রস্টিাব্দরে সহস্রতম সলিভার জুবলিী অনুষ্ঠান। প্রথমে বাংলাদশেরে জাতীয় সঙ্গীত গয়েে অনুষ্ঠানরে সূচনা হয়। তারপর খ্রস্টিাব্দ গণনার সূচক যশিুখ্রস্টিরে জন্মস্থান জরেুজালমেরে একজন বশিষ্টি নাগরকি যশিুর স্মরণে বন্দনাস্ত্রোত পাঠ করনে। এরপর শুরু হয় রাতরে আকাশে আলোকচ্ছটা আর আড়াই হাজার আতশবাজরি দৃষ্টনিন্দন খলো। এক ঘণ্টার অনুষ্ঠান শষেে আমাদরে আবার ফরোর পালা। হোটলেে পৗেঁছে একটু বশ্রিাম নতিে হব।ে সকালে অনুষ্ঠানরে দ্বতিীয় র্পব শুরু হবে বঙ্গোপসাগরে নৌ-বহিার দয়ি।ে 


লখেক : গবষেক ও সাংস্কৃতকি সংগঠক
ধনঁষধুধফ১৯৬১@মসধরষ.পড়স

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন