॥ মুস্তাফা জামান আব্বাসী ॥
রাজনীতি পথপরিক্রমণশীলদের প্রতিদিন কর্মসূচি; আজ জেল দিবস, কাল প্রতিবাদ দিবস, পরশু প্রত্যাবর্তন দিবসÑ দিবসের শেষ নেই। হিন্দুদের বারো মাসের তেরো পার্বন লেগেই আছে। মুসলমানদের কী? দিনের পর দিন কুরআনের পাতা খুলে বসা। যেখানেই আল্লাহর আহ্বান, সেখানেই আসন গেড়ে বসা। কুরআনই পথ, কুরআনই পাথেয়। রাসূলুল্লাহ সা:-এর জীবনের খোলা পাতা নতুন দিগন্তের সন্ধান। শবেমেরাজ সামনে এলে মুসলমান নতুন করে তালাশ করেন, খুলে বসেন সাহাবিদের নানা গ্রন্থ, যেগুলো তেমন খুঁজে পাওয়া যায় না আজ। তাদের মধ্যেÑ হজরত আনাস ইবনে মালেক রা:, উবাই ইবনে কাব রা:, বুরাইদা রা:, জাবেদ ইবনে আবদুল্লাহ রা:, হুজায়ফাহ ইবনে ইয়ামান রা:, সামুরাহ ইবনে জুনদুব, সাহার ইবনে সাদ, সাদ্দাদ ইবনে আউস, শোহায়েব আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, মা আয়েশা, মা আসমা, উম্মে হানি, উম্মে সালমা প্রমুখ। তাদের সবার কথাই পড়া হয়ে থাকে এবং সবার কথার মধ্যে যে সাদৃশ্যটুকু, সেটাকেই মূল বলে ধরা হয়। এটি তিন-চার শ’ পৃষ্ঠা অধিকার করে আছে।
হজরত আনাস ইবনে মালেক রা: বলছেন হুজুরে পাক সা:-এর জবানিতেÑ একটি বোরাক নিয়ে আসা হলো; গাধার তুলনায় একটু বড়, খচ্চরের চেয়ে একটু ছোট, বায়তুল মুকাদ্দাসে পৌঁছে গেলাম; ভেতরে গিয়ে আদায় করলাম দুই রাকাত নামাজ। জিব্রাইল আ: নিয়ে এলেন দু’টি পাত্র, একটিতে শরাব, আরেকটিতে দুধ। আমি নিলাম দুধ। আবার বোরাকে সওয়ার হলাম। আসমানে অনেকক্ষণ চলার পর দরজা খুলে গেল, তাকে কে যেন জিজ্ঞেস করলেন, কে?
জিব্রাইল বললেন, আমি জিব্রাইল।
প্রশ্ন হলো, উনি কে?
উনি মুহাম্মদ সা:।
প্রশ্ন হলো, উনাকে কি ডেকে আনা হয়েছে?
জিব্রাইল বললেন, জি।
এর পরে দেখা হলো আদম আ:-এর সাথে। তিনি ‘মারহাবা’ বলে শুভকামনা জানালেন। দ্বিতীয় আসমানে দরজা খুললে একই প্রশ্ন। এখানে দেখা হজরত ঈসা আ: ও হজরত ইয়াহ্ইিয়া ইবনে জাকারিয়া আ:-এর সাথে। তৃতীয় আসমানে দেখা হজরত ইউসুফ আ:-এর সাথে, যিনি রূপ ও সৌন্দর্যের আকর। এরপর চতুর্থ আসমানে দেখা হজরত ইদ্রিস আ:-এর সাথে, যাকে দেয়া হয়েছে সুউচ্চ আসন। পঞ্চম আসমানে দেখা হজরত হারুন আ:-এর সাথে। ষষ্ঠ আসমানে হজরত মুসা আ:-এর সাথে। সপ্তম আসমানে হজরত ইব্রাহিম আ:-এর সাথে, ‘বায়তুল মামুরে’ তিনি ইবাদতরত; যেখানে সত্তর হাজার ফেরেশতা ইবাদত করতে প্রবেশ করে।
জিব্রাইল আ: পরে নিয়ে যান সিদরাতুল মুনতাহায়, যার বর্ণনা করতে মর্ত্যবাসী অক্ষম। সে এক অপূর্ব বৃক্ষ, যা ছিল আল্লাহর নির্দেশে অপূর্ব সাজে সজ্জিত। আল্লাহ আমাকে দিলেন এক অপূর্ব নিয়ামত, যা হলো তার প্রতি প্রতি মুহূর্তে ভালোবাসার নির্যাস। পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ, যা ছিল তাঁর সর্বোৎকৃষ্ট উপহার। এগুলো ফরজ নামাজ, যা পালন করলে মানুষ আর কোনো ভুল করতে পারবে না, আল্লাহর সাথে থাকবে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। আল্লাহর এই অপূর্ব দান মাথায় করে আনার সময় প্রথম যার সাথে দেখা, তিনি হজরত মুসা আ:।
জিজ্ঞেস করলেন, কী নিয়ে এসেছেন?
বললাম : আমার উম্মতের জন্য বহন করে নিয়ে এসেছি পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ।
মুসা আ: বললেন : আমার মনে হয় আপনি আরেকবার যান সেখানে। এর ভার উম্মত বইতে পারবে না। বনি ইসরাইলের ক্ষেত্রে এটি পরীক্ষিত। আপনার এবং আপনার উম্মতের মধ্যে এ ফরজ পালনের সামর্থ্য নেই; কেননা বনি ইসরাইলের ওপর মাত্র দুই ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছিল, তারা এটি পালন করতে পারেনি। এরপর রাসূলে পাক সা: কয়েকবার আল্লাহর কাছে যাতায়াত করলেন এবং সর্বশেষ আল্লাহর তরফ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফয়সালা হলো।
বেহেশতের আঙিনায় পৌঁছে জিব্রাইল আ: বললেন, হে মুহাম্মদ সা: আপনি কি রবের কাছে বেহেশতের হুর দেখার আবেদন করেছেন?
তিনি বললেন, হ্যাঁ।
হুজুরে পাক সা: তাদের কাছে গিয়ে সালাম বিনিময়ের পর জিজ্ঞেস করলেন,
আপনারা কারা?
তারা বললেন, আমরা সৎ কর্মশীল সুশীলা সুন্দরী। যারা পাকপবিত্র লোকদের স্ত্রী, আমাদের মধ্যে কখনো বিচ্ছেদ হবে না। আমরা অনন্তকাল ধরে জীবিত থাকব। মৃত্যু কখনো স্পর্শ করবে না আমাদের। এভাবে প্রতিটি সাহাবার কাছে বৃত্তান্ত পৌঁছেছে; কোনো বৃত্তান্তের সাথে আরো কিছু যোগ হয়েছে বটে, কিন্তু কোনোটির সাথে কোনোটির কোনো বিরোধ ঘটেনি। মেরাজে যা পাওয়া গেছে তার নাম সালাত, যেটি মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার।
শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতেই অর্থাৎ ১৫ তারিখের পূর্বরাতই শবেবরাত। হাদিসে নববীর মাঝে তাকে লায়লাতুন নিসফি মিন শাবান অর্থাৎ অর্ধশাবানের রাত বলা হয়েছে। ইসলামি তারিখ মতে, সূর্যাস্তের পর থেকে তারিখ ধরা হয়। শবেবরাতের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে ওলিরা বলছেনÑ
* আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গভীর করার মাধ্যম এ রাত। * আত্মশুদ্ধির মন্ত্রে উদ্দীপ্ত হওয়ার অছিলা এ রাত। * মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্তি এবং বিশুদ্ধ বাসনা পূর্ণ করার উপায় হলো এ রাত। * সাধারণ ক্ষমার রাত। * সাম্য ভ্রাতৃত্ব ও গরিব-দুঃখীদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশের রাত। * শবেবরাতে খোদ আল্লাহ তায়ালা ডাকতে থাকেন বান্দাদের। * এই রাত জীবিকা বণ্টনের রাত। * এই রাত ভাগ্য নির্ধারণ করার।
যারা বঞ্চিত হবেন এ রাতে, তাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে। তাহলে বঞ্চিতরা এই দুই মাস চেষ্টা করুন এই লিস্ট থেকে নাম কাটানোর। তারা হলোÑ
১. যারা শিরক করবে। দেশ ভরে গেছে শিরকের সওদায় ব্যক্তি মুসলমানদের দিয়ে, যারা নামে মুসলমান, কর্মে নয়। আল্লাহকে বিশ্বাস করেন শুধু মুখে, কর্মে নয়। যখন কিছু বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে বলেন; ইসলামি কওমের বিরুদ্ধে বলেন; সব সময় মুসলমানদের খোঁটা দিয়ে কথা বলেন; অথচ মুসলমানদের ধর্মে স্থিত হওয়ার সব রকমের সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন। এদেরকে মুরতাদ বলা হয়নি ভদ্রতা করে, কারণ আল্লাহ চট করে মুরতাদ বলা পছন্দ করেন না। এদের কর্মকাণ্ড প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মুরতাদের বর্ণনার সাথেই মিলে যায়। আল্লাহ এদের মাফ করুক। যদি আমি তেমনটি হয়ে থাকি, তাহলে আমাকেই প্রথমে মাফ করে দেয়া হোক। ২. পিতা-মাতার অবাধ্যতা। যারা অবাধ্য, তারা সারা রাত নামাজ পড়লেও কাজ হবে না, বিশেষ করে যারা মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেন, তারা পিতা-মাতার অবাধ্য, তাদের কোনো ইবাদত গ্রহণ করা হবে না। ৩. আত্মীয়তা ছিন্নকারী, বড়লোক, যারা গরিব আত্মীয়দের বাড়িতে ঢুকতে দেন না, টেলিফোন করলে টেলিফোন কেটে দেন, সামাজিক অনুষ্ঠানে সালাম দিলে উত্তর দেন না, এমন বড়লোকদের সে দিন দেখা যায় মসজিদে বড় বড় গাড়ি করে প্রবেশ করতে। এদের ইবাদত আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কোনো দান ছুড়ে দেয়া যাবে না, বরং সেই দান গ্রহণ করে আত্মীয় তার উপকার করেছেন, এই মনোভাবই ফুটিয়ে তুলতে হবে। সমাজে দেখছি বড়মানুষী, এমনকি আমিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কি না, আমাকে ভেবে দেখতে হবে। নিজকে নিষ্কলুষ ভাবব তা হবে না, হিসাব খুব সূক্ষ্ম। তবে ন্যায়সঙ্গত কারণে আত্মীয়তা ছিন্ন করেছে, এমন উদাহরণ থাকতে পারে। ৪. অন্যের প্রতি ঈর্ষা পোষণকারী। রাজনীতি, ব্যবসায়, শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রভৃতি জগতে আধিপত্য দেখছি ঈর্ষাকারীদের। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারছেন না, বিশেষ করে রাজনীতির জগতে তা প্রকট। কেউ কারো লেখা পড়ি না, কেউ কারো কবিতা পড়ি না; গান শুনি না। আমি সবার চেয়ে বড়, এই জ্ঞান ঈর্ষার নামান্তর। এমনকি আপনারা শুনে অবাক হবেন, কিছু আলেম পর্যন্ত সর্বকারী। মনে করছেন, তিনি ছাড়া অন্যরা যাবেন দোজখে, সালামটিও গর্বিতভাবে গ্রহণ করেন। আমি যে একজন সামান্য লেখক হিসেবে এই লেখা লিখছি, এটাও কিছু আলেমের অপছন্দ। ভাবছেন, ইনি মাদরাসায় পড়েননি, লেখাটি আমার আলোচ্য গণ্ডির মধ্যে পড়ে না। টেলিভিশনে আলোচনা করতে গিয়ে দেখেছি, আমার দিকে তাকাচ্ছেন যেন করুণার চোখে। এদের সম্পর্কে সবিস্তারে বর্ণনা আছে। এই অধম লেখক যে নবী করীম সা:-এর ওপর গ্রন্থ রচনা করেছি, সেটা তারা এক দিনও পড়ে দেখেননি। এরই নাম ঈর্ষা। এদের ইবাদত কবুল হবে কি? ৫. তিন দিনের বেশি সময় সম্পর্ক ছেদনকারী। রাগ হলে তা থাকতে হবে সর্বোর্ধ্ব তিন দিন, এর বেশি নয়। তা না হলে ওই দিন রাতে ইবাদতে কাজ হবে না। মেয়েদের সতর্ক থাকতে হবে, তাদের রাগ অনেক সময় হয় চণ্ডালের মতো। মুসলমান রমণীরা যেন তা না হয়। ৬. যারা জাদুকর, তাদের ইবাদত গ্রহণ করা হবে না। সমাজে জাদুবিদ্যা বেশ ভালোভাবেই জমে উঠেছে, এটি ইসলামি মতে গ্রহণযোগ্য নয়। নতুনদের মধ্যে যারা জাদুবিদ্যা শিখতে যান, তাদের বিনম্রভাবে জানাতে হবে যে, এটি আল্লাহ পছন্দ করেন না। এই রাতে জাদুকরদের কোনো ইবাদত গ্রহণযোগ্য হবে না, তিনি যত বড়ই হোন, যত নাম করে থাকুন। ৭. জ্যোতিষবিদ্যা গ্রহণযোগ্য কি না জানি না, তবে গণক গ্রহণযোগ্য নয়; যত বড় গণকই হোক, তার এবাদত কবুল হবে না। ৮. গণক না হলেও কেউ কেউ গণকের কাছে যান। কোনো বন্ধু বলেছেন যেতে, ‘গণক পাথর সংগ্রহ করে রাখবেন ও বিরাট সম্মানের অধিকারী হব আমি’। যাইনি, টেলিফোন করেছিলাম। টেলিফোনে কণ্ঠ শুনেই শনাক্ত করতে পেরেছেন যে, বিরাট পদ পেতে চলেছি, মন্ত্রীও হতে পারি। বললেন বেশ কিছু টাকা নিয়ে দেখা করতে এবং ইত্যবসরে উনি সবচেয়ে দামি পাথর সংগ্রহ করে রাখবেন। আল্লাহর শুকুর, ওর কাছে যাইনি, পাথর পরিনি, পদ পাইনি, মন্ত্রী হইনি। সুখে আছি, যেটা সবচেয়ে প্রয়োজন। গণকের কাছে যারা যাবে, তারা এই রাতের কোনো উপকার পাবে না। ৯. সুদখোর। ব্যাংকের সুদ খাবে যারা, বিপদে তারা। ইসলামি ব্যাংকগুলোতে টাকা রেখেও গভীর চিন্তায় রয়েছি যে ৯ নম্বর সূত্রে বাদ পড়ব কি না। ১০. মদ্যপায়ী। মদ খান যারা, সমাজের উচ্চস্তরে তাদের অবস্থান। ইবাদত করার ফুরসত কোথায়, বরং এ রাতেও মশগুল রঙিন সুরায়। শবেবরাত যেন হাস্যকর প্রক্রিয়া, কারণ ওরা তাকে, এ পৃথিবীতেই বেহেশত হাসিল, অর্থ, প্রতিপত্তি, সুরা, নারী করায়ত্ত। আল্লাহর প্রয়োজন কী? ১১. ব্যভিচারী। যারা আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় ব্যভিচার জীবনে অভ্যস্ত, তাদের এ রাতে হাত না তুললেও চলবে। ১২. কৃপণ। যাদের অনেক অর্থ আছে, তাদের মধ্যে যেমন কৃপণ বেশি, আবার কিছু লোক যারা স্বভাবকৃপণ। অন্যের প্রশংসা করতে জানে না, অন্যের ভালো হলে মন খারাপ করে, পকেটে পয়সা থাকলেও কোনো দিন দানের কথা মনে করে না, তারা আল্লাহর কাছে সারা রাত ধরে হাত পাতলেও লাভ হবে না। ১৩. সব রকমের নেশা বর্জন করতে হবে, হোক তা ধূমপান, মাদক। তারা আল্লাহর করুণা থেকে হবে বঞ্চিত। ১৪. যে ব্যবসায়ী মিথ্যা শপথ করবে, কোর্টে মিথ্যা সাক্ষ্য দেবে, তার জন্য লানত বা অভিশাপ। সে কিছুই পাবে না। ১৫. যে শাসক অত্যাচার করবে, সে হবে লানতের ভাগী। কোনো দিন তার কোনো ইবাদত কবুল হবে না। ১৬. অন্যের অপ্রশংসা করে চলেছে, একজনের কথা আরেকজনকে বলে চোগলখোরি করেছে, তার কোনো ইবাদত কবুল হবে না।
ষোলটি শর্ত পালন করা যেমন সহজ, তেমনি কঠিন। আসলে খুবই সহজ।
ওই রাতে সূর্যাস্তের পরই আল্লাহ তায়ালা নেমে আসেন সর্বনিম্ন আসমানে। বান্দাদের ডেকে বলেনÑ ওহে, আছো কোনো ক্ষমাপ্রার্থী, ক্ষমা করব; আছো কোনো রিজিকপ্রার্থী, রিজিক দেবো; আছো তওবাকারী, তওবা কবুল করব; সুবহে সাদেক পর্যন্ত আল্লাহ তার রহমতের তিন শ’ দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়ে বলতে থাকেনÑ আজ যে যা চাও, তা-ই পাবে।
ইশার নামাজের পর তেলাওয়াত করতে থাকুন, মৃতদের জন্য মাগফিরাত, গরিব-মিসকিনদের জন্য দান, জিকির ও দরুদ, পরের দিন রোজা। পরের জন্য উৎসর্গীকৃত এমন ধর্ম ও জীবনবোধ, পৃথিবীতে আর খুঁজে পাওয়া যাবে কি? ২৬ মে ২০১২
লেখক : সাহিত্য ও সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
mabbasi@dhaka.net
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন